শিক্ষা এবং শিক্ষা নিয়ে মনীষীদের অভিমত

 "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, জাতির প্রগতি যার উপর নির্ভর করে। শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান আর মূল্যবোধ গড়ে ওঠে যা সভ্যতার মূল ভিত্তি সরণ। শিক্ষা মানুষের আদি অবস্থান ও সর্বশেষ অবস্থানের মধ্যবর্তী নিম্নতম সরলরৈখিক দূরত্বকে কমিয়ে দেয়।   

 

যুগে যুগে শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিখ্যাত মনীষী ও দার্শনিক বিভিন্ন মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেছেন। সেসব বক্তব্যে তাঁরা শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে তুলে ধরেছেন। যেগুলো আমাদেরকে বিভিবভাবে অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। শিক্ষা সম্পর্কে তাদের চিন্তা, চেতনা ও ভাবনাগুলো আমাদের জন্য এক একটা রত্নভান্ডার স্বরূপ।    

মূলত শিক্ষার  উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং প্রভাব সম্পর্কে প্রাচীন দর্শন থেকে শুরু করে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি পর্যন্ত মনীষীদের মতামত অত্যান্ত সতর্ক ও গুরুত্ব সহকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।     

  

 এখানে কিছু মূলবিষয় তুলে ধরা হলো:                

   

শিক্ষার মর্মার্থ:    

প্রাচীন ভারতীয় ধারণায় "শাস" ধাতু থেকে নেওয়া শিক্ষা শব্দের অর্থ শাসন বা উপদেশ দান।          

পশ্চিমা ধারণায় "এডুকেশন" শব্দের অর্থ হলো ভেতরের সম্ভাবনাকে বিকশিত করা। 

সক্রেটিস শিক্ষাকে মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ হিসেবে দেখেছেন।

 শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

এরিস্টটলের মতে, শিক্ষা হলো "সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করা"।

রবীন্দ্রনাথের মতে, শিক্ষা আমাদের বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবন গড়ে তোলে।

গাঁধীর মতে, শিক্ষার লক্ষ্য হলো মন, দেহ, ও আত্মার সর্বোত্তম গুণগুলির সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ।

 শিক্ষার প্রভাব ও প্রয়োজন:

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, "তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো।"

ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখ করেছেন যে, শিক্ষার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা উচিত, চাকরি খোঁজার জন্য নয়।

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, "যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত।"

শিক্ষার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি:

জন অ্যাডামসের মতে, শিক্ষা একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া।

আইভরি ব্রাউন বলেছেন, শিক্ষার প্রথম কাজ হলো কৌতুহলের শিকে ছেঁড়া।

চীনা প্রবাদ মতে, শিক্ষা শিখতে ও বুঝতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

উপসংহার:

শিক্ষা শুধু তথ্য পরিবেশন করে না, বরং ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়নও  ঘটায়। 

শিক্ষা কেবল তথ্য প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ব্যক্তির মানসিক বিকাশ ও সৃজনশীলতার

বিকাশ ঘটায়। একই সঙ্গে, সমাজের নৈতিক এবং উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  

অতএব; বলা বাহুল্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রেকে উন্নত ভবিষয়তের দিকে ধাবিত করার জন্য শিক্ষা অপরিহার্য এক চালিকাশক্তি।    

 

-- আলী ইউছুফ,

রাজনীতিক, গবেষক, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক, চট্টগ্রাম।  

(ফেসবুকের গল্প-Facebooker Golpo ফেসবুক গ্রুপ থেকে সংগৃহীত) 

Join our Facebook group

👉 👉 [এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টগুলো ফেসবুক এবং ইমেইল থেকে সংগৃহীত। উক্ত লেখার বক্তব্য ও দায়-দায়িত্ব লেখকের একান্ত নিজস্ব। তাই প্রকাশিত লেখার বিষয়ে কোনো মতামতের জন্য এডমিন দায়ী নয়।]